Wednesday, 18 November 2015

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহস্পতিবারের নির্ধারিত ডিগ্রি পাস কোর্সের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহস্পতিবারের নির্ধারিত ডিগ্রি পাস কোর্সের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা যথা সময়ে অনুষ্টিত হবে ।
সূত্রঃ যমুনা টিভি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) প্রোফেশনাল শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রমের প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ১৫ নভেম্বর বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) প্রোফেশনাল শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রমের প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ১৫ নভেম্বর বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয়েছে।
• আবেদন শেষ তারিখঃ ৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত
• আবেদন ফিঃ ৩০০ টাকা
• ক্লাস শুরুর তারিখঃ ৩ জানুয়ারি ২০১৬।
২০১১/২০১২/২০১৩ সালের মাধ্যমিক / সমমান এবং ২০১৪/১৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় আলাদাভাবে ৪র্থ বিষয় সহ ন্যূনতম জিপিএ ২.৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা এই কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারবে।

Sunday, 15 November 2015

যেভাবে জানা যাবে শাবি'র ভর্তি পরীক্ষার ফল

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ২০১৫/১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল আগামীকাল সোমবার প্রকাশিত হবে। ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মুশতাক আহমেদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আগামীকাল সকালেই ফলাফল পাওয়া যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.sust.edu/admission এ প্রবেশ করে ফলাফল জানা যাবে। এছাড়াও যে কোন মোবাইল অপারেটর থেকে SUST<space>RESULT<space>Your-Admission-Roll লিখে 16222 নাম্বারে খুদেবার্তা পাঠালে ফিরতি মেসেজে রেজাল্ট জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ সিলেট নগরীর ৩০টি কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টায় ‘এ’ ইউনিটের এবং দুপুর আড়াইটায় ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি ইউনিটে ১৪৪৮ আসনের বিপরীতে ৪১২৯৭ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। পরীক্ষা কেন্দ্রে ভর্তিচ্ছুদের উপস্থিতি ছিল প্রায় ৮৫ ভাগ।

National University Bangladesh 1st Convocation will be held on 2016

National University Bangladesh Convocation Date Announce. National University Bangladesh 1st Convocation will be held on 2016. National University Bangladesh Convocation Date will Announced on 25th May (Monday) 2015. Every Student must complete the Registration within 30th November 2015 in nu.edu.bd

Registration process :
Go to NU home page and see Student Registration & Login. Every student put there academic year and result and their subject and also put the a password and student name.

মাইগ্রেশন ( Maigration) সম্পর্কে কিছু তথ্য

আসুন জেনে নেওয়া যাক মাইগ্রেশন কি?
>> মাইগ্রেশন হল এমন এক পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি আপনার রেজাল্টের প্রাপ্ত বিষয় পরিবর্তন করতে পারবেন।।।।।মনে রাখবেন মাইগ্রেশন পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার বিষয় চয়েজ এর উপর কেন্দ্র করে বিষয় পরিবর্তন হয়। মাইগ্রেশন কখনো নিচের দিকে যায়না। সব সময় উপরের দিকে যায়। যেমন, মনে করেন আপনার চয়েজ ছিল
1.Accounting
2.Finance
3.Marketing
4. Management
5. Bangla
6.Economics
মনে করেন, এখন আপনি চান্স পেলেন ৪ নং চয়েজ Management সাবজেক্টে। আপনি এখন যদি AutoMaigration করেন তাহলে আপনার পয়েন্ট যাছায় বাছায় করে আপনার বিষয় পরিবর্তন হতে পারে। এখন খেয়াল করুন মাইগ্রেশন কখনো নিচের দিকে যাবে না।Management এ ভর্তি হওয়ার সময় যদি মাইগ্রেশন Option Openকরে দেন তাহলে আপনার চান্চ হওয়ার সম্ভবনা থাকবে 3.Marketing 2. Finance ও 1.Accounting এই তিন টা সাবজেক্ট এর উপর। আপনার চান্স পাওয়া বিষয়ের পরে যে গুলো থাকবে ঐগুলো আসবে না, মাইগ্রেশনে বিষয় আসবে আপনার Management বিষয়ের আগের চয়েজ গুলো যা আছে তাদেরমধ্যে।
বি:দ্র-- ১ম চয়েজ এ যদি চান্স হয় তাহলে মাইগ্রেশন হবে না। কারণআগেই বলেছি মাইগ্রেশন নিচের দিকে যায় না।

মাইগ্রেশন আবেদন কিভাবেকরবেন?
মাইগ্রেশন আবেদন Online এরমাধ্যমেই করতে হয়। আপনার চান্স হয়েছে যে বিষয়ে সেই বিষয়ে চুড়ান্ত ভর্তি ফরম প্রিন্ট করার সময় আপনাকে Auto Maigration Option চালু করতে হবে। যদি এই Option টা চালু করেন তবেই আপনি মাইগ্রেশন রেজাল্ট পাবেন।আপনার বিষয় পরিবর্তন হবে। 
আর যদি Auto Maigration চালু না করেন তাহলে আপনার বিষয় পরিবর্তন হবে না।
এখন আপনি যদি উক্ত বিষয় নিয়ে পড়তে না চান তাহলে মাইগ্রেশন করতে পারেন। ভাগ্যক্রমে যদি আপনার বিষয় পরিবর্তন হয় তাহলে আপনার জন্য Good Luck, আর যদি Change না হয় তাহলে আপনার উক্তবিষয় বহাল থাকবে।।
আবার আপনি মাইগ্রেশন করেছেন আপনার বিষয় পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু আপনি ভাবছেন আমি এইবিষয়ে পড়বো না আগে যা ছিলতাই পড়বো.... Sorry আপনি আর আগেরবিষয়ে পড়তে পারবেন না। আরবিষয় পরিবর্তন করা সম্ভব না।।।।।

সুতরাং Atuto মাইগ্রেশন করার আগে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, আমিযে বিষয় পেয়েছি সেই বিষয়ের আগের চয়েজ গুলো ভালো নাকি যেটায় চান্স পেয়েছি এটাই ভাল।
উপরের বিষয় গুলোর যে কোন একটা বিষয়ে যদি পড়ার ইচ্ছা আপনার থাকে তাহলে Auto মাইগ্রেশন করতে পারেন।
গত বছর এই ভুলের কারনে অনেক ভাল বিষয় পরিবর্তন হয়ে Normal বিষয় এসেছে এবং তাদের নরমাল খারাপ বিষয়ে অনার্স করতে হচ্ছে।


সুতরাংআপনি মাইগ্রেশন অবশ্যই বুঝে শুনেকরবেন।ধরুন আপনি চান্স পেলেন PoliticalScience বিষয়ে।


আপনি মাইগ্রেশন করবেন ভাবছেন Political Science এর আগের বিষয়গুলোর মধ্যে পেলে ভাল হয়। আপনি Auto Maigration চালু করলেন।আপনি পেয়ে গেলেন SocialWork...... হা হা হা আপনি খেয়ালকরেন নাই  Political Science বিষয়ের আগে Social Work চয়েজ দেয়া ছিল। তখন আপনাকে এই খারাপ বিষয়টা নিয়েই পড়তে হবে আর ফিরে পাবেন না আপনার
Political Science বিষয়। যারা মাইগ্রেশন করতে চাইতেছেন Sobe Careful মাইগ্রেশন Nu দ্বারা Auto বিষয় পরিবর্তন হয়। এতে কলেজ কিংবা আপনার কোন হাত থাকবে না।আপনার অনলাইনে ভর্তি চুড়ান্ত ফরমপূরন করে উক্ত বিষয়ে ভর্তি হতেহবে। আর যদি পরিবর্তন হয় তাহলে Auto পরিবর্তন হয়ে যাবে। নতুনকরে ভর্তি হতে হবে না।
যারা বিষয় পরিবর্তন করতে চাননা তারা ভুলেও মাইগ্রেশন চালু করবেন না। আপনি আপনার উক্তবিষয় নিয়েই ভর্তি হয়ে যান।
.
১ম মেধা তালিকার মাইগ্রেশনরেজাল্ট ২য় মেধা তালিকার সাথেপ্রকাশ করা হবে। যারাই Autoমাইগ্রেশন চালু করবেন তারাআবারও একট রেজাল্ট পাবেন।

2015-2016 সেশনের অনার্স ভর্তি কার্যক্রম

১ম মেধাতালিকায় স্থানপ্রাপ্তরা আগামী ২২-১১-২০১৫ইংরেজী তারিখের মধ্যে অনলাইন থেকে ২পাতার ভর্তি ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ কলেজে গিয়ে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম
সম্পন্ন করবে।১ম মেধাতালিকায় যারা চান্স পায়নি তারা ২য় মেধাতলিকার জন্য অপেক্ষা করবে। আসন খালী থাকা সাপেক্ষে ২য় মেধাতালিকা প্রকাশিত হবে ৩ ডিসেম্বরের পর।

পুরনো ভর্তি বাতিলের নিয়ম

(১) প্রথমে নিজ কলেজ অফিস/ডিপার্টমেন্ট এ যাতে হবে।
(২) তারপর কলেজ অফিস/ডিপার্টমেন্ট হতে ভর্তি বাতিলের ফরম নিতে হবে।
(৩) নির্দিষ্ট ফরম টা পুরণ করে, টাকা সহ কলেজ অফিস/ডিপার্টমেন্ট এ জমা দিতে হবে।
(৪) তারপর কলেজ কর্তৃপক্ষ তোমার সব ডকুমেন্ট ফেরত দিয়া দিবে।

বি:দ্র:-- ভর্তি বাতিল হতে কিছুদিন সময় লাগে, Nu কতৃপক্ষেরর কাছে তোমার আবেদন টি পৌছাবে তারপর ভর্তি বাতিল করবে। সুতরাং কিছু সময় লাগবে, But তুমি তোমার ডকুমেন্ট ফেরত নিতে পারবে। এবং নতুন প্রাপ্ত বিষয়ে ভর্তি হতে পারবে। ভর্তি বাতিল ফরম পূরন না করে কেউ ডকুমেন্ট উঠিয়ে নতুন করে ভর্তি হয়ে অনার্স কোর্স হারিয়েন না। অবশ্যই আগের ভর্তি বাতিল ফরমটি পূরন করে তারপর ডকুমেন্ট কলেজ থেকে নিয়ে নতুন করে ভর্তি হোন। ভর্তি হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই আপনার আগের ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে।
****সরকারি কলেজ এ ভর্তি বাতিল করতে
1500থেকে 2500টাকা লাগতে
পারে।
★★★ বেসরকারি কলেজ এ ভর্তি
বাতিল করতে আর ও বেশি লাগতে
পারে।

অনার্সে যারা ১ম মেধাতালিকায় চান্স পেয়েছ তারা অনেকেই মাইগ্রেশন সম্পর্কে জানতে চেয়েছ, বিস্তারিত বলছি-

অনার্সে যারা ১ম মেধাতালিকায় চান্স পেয়েছ তারা অনেকেই মাইগ্রেশন সম্পর্কে জানতে চেয়েছ, বিস্তারিত বলছি।
ধর তুমি আবেদনের সময় বিষয় দিয়েছ ১। ইংরেজী, ২। অর্থনীতি, ৩। বাংলা।
এখন বাংলা বিষয় পেয়েছ এবং বাংলা তোমার পচ্ছন্দের ৩নম্বর বিষয়। কিন্তু তোমার ইংরেজী বিষয় নিয়ে পড়ার খুব ইচ্ছা। এখন তুমি ভর্তির আবেদন ফরম পূরণ করার সময়
Do you want to change your assigned subject based on your given preference list? YES or NO (ছবিতে দেখ)
বাটনে ক্লিক করলে তুমি মাইগ্রেশনের জন্য আবেদন করতে পারবে। তুমি ফরম কলেজে জমা দিয়ে বাংলা বিষয়ে ভর্তি হয়ে যাও।

ভর্তির সময় শেষ হলে মাইগ্রেশনের ফলাফল দেওয়া হবে, তখন ইংরেজী বিষয়ে যদি আসন খালী থাকে এবং তোমার যোগ্যতা থাকে তবে তুমি ইংরেজী বিষয় পাবে এজন্য তোমাকে কোন ফি দিতে হবে না। আর যদি পরিবর্তন না হয় তবে তুমি আগের বাংলা বিষয়ে পড়তে হবে।

Thursday, 5 November 2015

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ২য় বর্ষের পরীক্ষা ৭ নভেম্বর

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪ সালের ২য় বর্ষ
অনার্র্র্স পরীক্ষা পূর্বঘোষিত সময়সূচী অনুযায়ী
আগামী (০৭/১১/১৫) তারিখ দুপুর ১:০০ টা থেকে শুরু
হচ্ছে। সারাদেশের ৪৭৩ টি কলেজের ১৮৪ টি
কেন্দ্রে সর্বমোট ২,৩৬,৩২৩ জন পরীক্ষার্থী
পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে। পরীক্ষা অনুষ্ঠানের
লক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন
হয়েছে।

Friday, 30 October 2015

সরকারি কলেজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত

য়ে এ সংত্রুান্ত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) হেলাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি অনেক দিনের পুরানো এজেন্ডা। আজ এর নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। তবে একবারে সব সরকারি কলেজকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে না এনে বরং পর্যায়ক্রমে করার পক্ষে মত এসেছে। আমরা সেভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবো আশা করছি। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারি কলেজগুলোকে বের করে আনার নানা ঝক্কি নিয়ে আলোচনা হলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে বাস্তবায়নের পক্ষেই সবাই মত দিয়েছেন। সবগুলোকে একসাথে হস্তান্তর না করে তা পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর করার পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ বড় সব কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের ছাত্রদের নিয়েই হিমশিম খাচ্ছে। নতুন করে কলেজ দেখা-শোনার দায়িত্ব নিতে গেলে ভবন, অতিরিক্ত বাজেটসহ জনবলের প্রয়োজন হবে। এছাড়াও আরো নানা বিষয় সামনে আসবে। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র কয়েকটি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। তাদের নতুন করে কলেজ নেয়ার সামর্থ্য থাকবে না। উল্লেখ্য, সারাদেশে ২৭৫টি সরকারি কলেজ রয়েছে। এ কলেজগুলো প্রায় কয়েক লাখ শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। বিষয়টি নিয়ে আরো দ্রুততার সাথে কাজ করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গত বছরের ৩১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করতে গিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি কলেজগুলোতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থিত সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি ঢিলেমির অভিযোগ উঠেছে। ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ৭ ডিসেম্বর ’১৪ ইউজিসিতে ভিসিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় পক্ষে মত এলে তা বাস্তবায়নে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান করা হয় ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মাদ মোহাব্বত খানকে। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রায় এক বছর পরও তা দিতে পারেনি। সর্বশেষ ইউজিসি নতুন চেয়ারম্যানসহ দুজন সদস্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে ফের তাগিদ দেন। এ অবস্থায় নতুন করে তোড়জোর শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

Sunday, 11 October 2015

অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল আগামীকাল

২০১৪ সালের অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষার ফল আগামীকাল ১২ অক্টোবর রাত ৮:০০ টায় প্রকাশ করা হবে। ফলাফল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.nu.edu.bd / www.nubd.info এবং যে কোন মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে nu<space> h1 <space> reg. No লিখে ১৬২২২ নম্বরে Send করে ফল পাওয়া যাবে।আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ থেকে প্রাপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, উক্ত পরীক্ষা গত ২১ মে শুরু হয়ে ৬ জুলাই শেষ হয় এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ তারিখে শেষ হয়।পরীক্ষায় ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ৫৫৭ টি অনার্স কলেজের ১৯৭ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে সর্বমোট ১,৮০,৫১৭ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

Saturday, 10 October 2015

তোমাকে নিয়ে আমার এর চেয়েও ভালো পরিকল্পনা আছে

 
ডাঃ নাজিরুম মুবিনঃ আমার খুব প্রিয় কিছু ছোট ভাই এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে। এদের সবাই সেকেন্ড টাইমার। সবাই দুর্দান্ত
মেধাবী। সবারই ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে
ভালো ভালো সাবজেক্টে এডমিশন নেয়া আছে।
কিন্তু তারা মেডিকেলে পড়তে চায়। মনে- প্রাণে চায়। তাই দ্বিতীয়বারের মতো
ভর্তিযুদ্ধে নামে তারা। একজনের হয়
ময়মনসিংহ মেডিকেলে। আরেকজনের সিলেট
মেডিকেলে।
আবার ৭০ পেয়েও দুই জনের চান্স হয় নি। হবেই
বা কিভাবে। প্রশ্ন ফাঁসের এই যুগে ৭০ কোন মার্কসই না। যদিও ৭ বছর আগে আমি ৬৭ পেয়ে
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে চান্স
পেয়েছিলাম। ৭০ পেলে আমার ডিএমসিতে হয়ে
যেত। আমার ছোট ভাইগুলো খুব হতাশ হয়ে
পড়েছে। প্রতি বছর মেডিকেল-বিশ্ববিদ্যালয়
ভর্তি পরীক্ষার মৌসুমে ভর্তিচ্ছু ছাত্র- ছাত্রীদের এরকম স্বপ্ন ভঙ্গ হওয়া শুরু হয়।
অধিকাংশই তাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে
পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হতে পারে না।
ঠিক ৭ বছর আগে এরকম সময়ে আমরা ছিলাম
মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষার্থী। অনেকের মতো
আমার খুব কাছের এক বন্ধুর একমাত্র টার্গেটই ছিল মেডিকেল। প্রচুর পরিশ্রমও করেছিল সে।
কিন্তু চান্স পায় নি। একরাশ হতাশা নিয়ে
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা
দিতে থাকল। অবশেষে তার ঠিকানা হলো
সাস্টের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপার্টমেন্টে। আর আমি মাইগ্রেশন করে আসলাম সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে।
পরের বছর পরীক্ষা দিতে চেয়েছিল। আমি
বলেছিলাম, যেখানে আছো সেখানেই যদি ভালো
রেজাল্ট করতে পারো তাহলে অনেক কিছু করতে
পারবে। তবুও তার মন খারাপ। তখন তাকে
বলেছিলাম, তোমাকে নিয়ে হয়ত আল্লাহ্র আরো ভালো পরিকল্পনা আছে। সে মানে বুঝতে পারল
না। তাকে ভেঙ্গে বললাম। মানুষ যখন আল্লাহ্র
কাছে আন্তরিকভাবে কিছু চায়। আল্লাহ্ তখন
তিন ধরণের উত্তর দিয়ে থাকেন। প্রথম উত্তর,
ঠিক আছে তোমার চাওয়া পূর্ণ করা হবে।
দ্বিতীয় উত্তর, তোমার চাওয়া পূর্ণ করা হবে তবে এখন না পরে। শেষ উত্তরটি হলো, তোমাকে
নিয়ে আমার এর চেয়েও ভালো পরিকল্পনা আছে।
প্রথম দুই উত্তর সহজেই বুঝা যায়। কিন্তু তৃতীয়
উত্তরটা বুঝতে হলে অনেক সময় অপেক্ষা করতে
হয়। দৃশ্যমান কোন কিছু দিয়ে উদাহরণ না
দিলে, পার্থিব কোন কিছু দিয়ে তুলনা না করলে মানুষ কোন বিষয় বুঝতে পারে না। এটা
মানুষের সীমাবদ্ধতা। মানবীয় দূর্বলতা। তাই
তিন নম্বর উত্তরটা বুঝতে আমাদের দেরি হয়।
কষ্ট হয়। আমার বন্ধুও তখন বুঝে নি। সত্যি কথা
আমিও ভালো মতো বুঝি নি। বলার দরকার তাই
ভাবসাব নিয়ে বলেছিলাম আর কি। আমার সেই মেডিকেলে ভর্তি হতে চাওয়া বন্ধু
চার বছর বেশ ভালো রেজাল্টই করল।
ডিপার্টমেন্টের সেকেন্ড হলো। আর আমিও পাশ
করে ইন্টার্নি শুরু করলাম। একদিন আমি
ডিঊটিতে। হঠাৎ সেই বন্ধুর কল। “অই আমি
মনোবুশো স্কলারশিপ পাইছি।” মনোবুশো জাপানের ন্যাশনাল স্কলারশিপ। এই
স্কলারশিপের অধীনে সে ৫ বছরের প্রোগ্রামে
জাপান যাবে। এমএসসি করবে তারপর
পিএইচডি। থাকা, খাওয়া ফ্রি। কোন টিউশন
ফি লাগবে না। উল্টো হাত খরচের জন্য মাসে
মাসে দেড় লাখ ইয়েন পাবে। পিএইচডি করার সময় আন্ডারগ্রাড স্টুডেন্টদের পড়াতে হবে।
সেটার জন্য আলাদা বেতন পাবে। প্রতিবছর
জাপান-বাংলাদেশ-জাপান বিজনেস ক্লাস
এয়ার টিকেট পাবে। তার গবেষণার বিষয়
ক্যান্সার ডায়াগনোসিস এন্ড প্রোগনোসিসে
ন্যানো টেকনোলজি। এই বিষয় নিয়ে আরো অনেক জায়গায় গবেষণা চলছে। যারাই আগে সাফল্য
পাবে তারাই চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল
পুরষ্কার পাবে। সে যে ল্যাবে কাজ করবে সে
ল্যাবের সাথে বিশ্বের আরো ১২টি দেশের
বায়ো-টেক ল্যাবের জয়েন্ট ভেঞ্চার আছে।
বলা যায় না হয়ত বা আমার বন্ধুই হবে বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল
পাওয়া প্রথম বিজ্ঞানী।
বন্ধুর স্কলারশিপ পাওয়া উপলক্ষে কয়েক দফায়
পার্টি হলো। আমি যে তাকে আল্লাহ্র তিনটা
উত্তরের কথা বলেছিলাম সেটা তার মনে ছিল।
“তোমাকে নিয়ে আমার এর চেয়েও ভালো পরিকল্পনা আছে।” আল্লাহ্র এই তিন নম্বর
উত্তরের মানে আমি এখন বুঝছি, বলল আমার
বন্ধু। শুধু আমার বন্ধু না আমিও বুঝলাম ভালো
ভাবে। আজ রাতে আমার বন্ধুর ফ্লাইট। একটু
আগে কল করেছিল। দোয়া করতে বলছে সবাইকে।
কোন সাবজেক্টেই খারাপ না। কোন ভার্সিটিই খারাপ না। রেজাল্ট ভালো করার চেষ্টা করতে
হবে। আর আল্লাহ্র কাছে চাইতে হবে। তবে
যারা প্রশ্নপত্র কিনে চান্স পেয়েছে। তারা
আসলে টাকা দিয়ে মেডিকেলের একটা সিট
কিনে নি বরং জাহান্নাম কিনেছে। চান্স
পাওয়ার পর থেকে তাদের এই পরিচয় দিয়ে তারা যা উপার্জন করবে সব হারাম বলে গণ্য
হবে। ছাত্রাবস্থায় টিউশনি করে যা আয় করবে
তাও হারাম ডাক্তার হয়ে রোগী দেখে যা
উপার্জন করবে সেটাও হারাম হবে। তাদের
কোন ইবাদতও কবুল হবে না। কারণ ইবাদত কবুল
হওয়ার পূর্বশর্ত হালাল রোজগার। যারা পছন্দের জায়গায় চান্স পাবা না তারা
হতাশ হয়ো না। আল্লাহ্ হয়তো তোমাদের জন্য
এরচেয়েও ভালো পরিকল্পনা করে রেখেছেন।
আসলে জীবন হচ্ছে একটা ২০০ মিটারের দৌড়
প্রতিযোগিতা। কেউ প্রথম ১০০ মিটার জোরে
দৌড়ায়। কেউ শেষের ১০০ মিটার। ফিনিশিং লাইন সবাই টাচ করে। কেউ একটু আগে। কেউ
একটু পরে। সুতরাং দৌড়াতে থাকো।

Thursday, 8 October 2015

এসএসসি ও এইচএসসিতে এমসিকিউয়ের ১০ নম্বর কমছে

২০১৭ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা থেকে বহুনির্বাচনী প্রশ্নের (এমসিকিউ) ১০ নম্বর কমছে। এই ১০ নম্বরের জায়গায় সৃজনশীল অংশ যুক্ত হবে।
এ ছাড়া আগামী বছরের (২০১৬) এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আগে দিতে হবে এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর, তারপর সৃজনশীল অংশের।

বুধবার শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই এমসিকিউ প্রশ্নের নম্বর কমিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছিল। বৈঠকে উপস্থিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

এমসিকিউয়ের মাধ্যমে প্রকৃত মেধা যাচাই হয় না বলেও আলোচনা আছে। এসব প্রেক্ষাপটে এমসিকিউয়ের নম্বর পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনার আলোচনা চলছিল।

Wednesday, 7 October 2015

শাবিপ্রবি থেকে মর্টার সেল উদ্ধার, যুবক আটক

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস থেকে একটি তাজা মর্টারশেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় এক যুবককে আটক করা হয়। বিক্রির জন্য ওই যুবক মর্টারশেলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে এসেছিল বলে জানিয়েছেন জালালাবাদ থানার ওসি আকতার হোসেন। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ভবনের সামনে থেকে মর্টারশেলসহ শেখু মিয়া নামের ওই যুবককে আটক করা হয়। শেখু নেত্রকোনা জেলার মদন থানার দেউছি গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী যুগীটিলায় বসবাস করে। সে পেশায় মাটিকাটা শ্রমিক। জালালাবাদ থানার ওসি আকতার হোসেন জানান- শেখু মিয়া মর্টারশেলটি নিয়ে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে আসলে তা দেখে ফেলেন শিক্ষার্থীরা। ছাত্রদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মর্টারশেলটি উদ্ধার ও শেখু মিয়াকে আটক করে। শেখু মিয়ার বরাত দিয়ে ওসি আকতার জানান- শনিবার বিমানবন্দর এলাকায় মাটিকাটার কাজ করার সময় মর্টারশেলটি পায়। পরে তা সেখান থেকে লুকিয়ে নিয়ে আসে। মর্টারশেলটি বিক্রির জন্য সে ক্রেতার সন্ধানে শাবিপ্রবিতে এসেছিল।

Tuesday, 6 October 2015

অনার্স ১ম বর্ষ (বিশেষ) ও মাস্টার্সের পরীক্ষার সময় পরিবর্তন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪ সালের অনার্স ১ম বর্ষ (বিশেষ) ও ২০১২ সালের মাস্টার্স শেষ পর্বের পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সময়ে পরিবর্তনে এনেছে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার দিন ঠিক রেখে সময় এক ঘণ্টা এগিয়ে এনে বেলা ২টার পরিবর্তে পরীক্ষা একটায় শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ফয়জুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ০৬ অক্টোবর থেকে পূর্বনির্ধারিত বেলা ২টার পরিবর্তে দুপুর ১টা থেকে পরীক্ষা আরম্ভ হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে www.nu.edu.bd-এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

শাবিতে ভর্তি পরীক্ষার নিবন্ধন: যা করতে হবে

শাহজালাল
বিজ্ঞান

প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ে
(শাবি) ২০১৫-১৬
শিক্ষাবর্ষে
অনার্স
ভর্তি নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৩ অক্টোবর। নিবন্ধন চলবে চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত। আগামী ১৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় ‘এ’ এবং দুপুর আড়াইটায় ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ভর্তি সংক্রান্ত এসব তথ্য জানান- ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর মুশতাক আহমদ। ভর্তি কমিটির সভাপতি প্রফেসর নারায়ণ সাহা জানান, এবার শাবিতে নতুন একটি বিষয় চালু হচ্ছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড, আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড, আন্তর্জাতিক পদার্থ বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এবং অন্যন্য স্বীকৃত আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে স্বর্ণ, রৌপ্য অথবা ব্রোঞ্জ মেডেলপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই তাদের পছন্দমত বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। ভর্তি পরীক্ষার জন্য যোগ্যতা: ২০১৪/২০১৫ সনে অনুষ্ঠিত এইচ.এস.সি (সাধারণ ও কারিগরি)/আলিম/ডিপ্লোমা ইন কমার্স/সমমান এবং ২০১২/২০১৩ সনে অনুষ্ঠিত এস.এস.সি (সাধারণ ও কারিগরি)/দাখিল বা সমমান পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ ছাত্র- ছাত্রীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ডিপ্লোমা-ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ
ছাত্র/ছাত্রীদের ২০১০/২০১১ সালে অনুষ্ঠিত এস.এস.সি. বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। যে সব ছাত্র-ছাত্রী বিজ্ঞান শাখা থেকে এইচ.এস.সি বা সমমান পরীক্ষা পাস করেছেন তারা ‘এ’ ও ‘বি’ উভয় ইউনিটেই এবং অন্যরা শুধু ‘এ’ ইউনিটে আবেদন করতে পারবেন। ‘এ’ ইউনিটে আবেদন করার জন্যে এইচ.এস.সি/সমমান ও এস.এস.সি./সমমান উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.০ সহ মোট ৬.৫ থাকতে হবে। ‘বি’ ইউনিটে আবেদন করার জন্যে এইচ.এস.সি/সমমান ও এস.এস.সি./সমমান উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.০ সহ মোট ৭.০ থাকতে হবে। জি.সি.ই. ‘ও’ লেভেলে কমপক্ষে ৩টি বিষয়ে বি গ্রেডসহ ৫টি বিষয়ে পাস এবং জি.সি.ই. ‘এ’ লেভেলে কমপক্ষে ২টি বিষয়ে বি গ্রেডসহ ৩টি বিষয়ে পাস থাকতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া: যদি কোনো ছাত্র/ছাত্রী ‘এ’ ও ‘বি’ উভয় ইউনিটে পরীক্ষা দিতে চান, তাহলে উভয় ইউনিটে আলাদা আলাদা আবেদন করতে হবে। সাব-ইউনিটগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে, কোনো একটি সাব-ইউনিটে আবেদন করলে ওই ইউনিটের অন্য সাব-ইউনিটে আবেদন করা যাবে না। আবেদন করার জন্যে একটি প্রিপেইড টেলিটক মোবাইল ফোন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম (SUST), এইচ.এস.সি./সমমান শিক্ষা বোর্ডের নামের কোড, এইচ.এস.সি./সমমান পরীক্ষার রোল নম্বর, পাসের সাল এবং এস.এস.সি./সমমান শিক্ষা বোর্ডের নামের কোড, এস.এস.সি./সমমান পরীক্ষার রোল নম্বর, পাসের সাল, সাব-ইউনিটের কী ওয়ার্ড (A, B1, B2, B3, B4) লিখে ১৬২২২ নম্বরে SMS করতে হবে। উদাহরণ: SUST<space> SYL <space> 123456 <space>
2015<space> SYL <space> 654321<space> 2013 <space>A এখানে 123456 এবং 654321 যথাক্রমে এইচএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার রোল নম্বর। শিক্ষাবোর্ড থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার যোগ্য হলে তার মোবাইল ফোন থেকে নির্ধারিত ফি কেটে নিয়ে তাকে ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর, প্রবেশপত্রের জন্য একটি USER ID এবং PASSWORD জানিয়ে দেয়া হবে। যা নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রবেশপত্র প্রিন্ট: প্রবেশপত্রের জন্য http://sust.teletalk.com.bd/ ওয়েব সাইটে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের USER ID এবং PASSWORD ব্যবহার করে প্রবেশপত্র প্রিন্ট অপশন থেকে আবেদনকারীকে ২ (দুই) কপি প্রবেশপত্র সাদা A4 সাইজ কাগজে প্রিন্ট নিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত প্রবেশপত্র প্রিন্ট করা যাবে। কেউ যদি উভয় ইউনিটে আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে প্রতিটি ইউনিটের জন্য একই নিয়মে আলাদাভাবে প্রবেশপত্র প্রিন্ট করতে হবে। USER ID এবং PASSWORD হারিয়ে গেলে SUST<space>HELP<space>এইচ.এস.সি/সমমান
শিক্ষাবোর্ডের নামের কোড <space> এইচ.এস.সি/সমমান পরীক্ষার রোল নম্বর <space> এইচ.এস.সি/সমমান পরীক্ষার পাসের সাল লিখে 16222 নম্বরে SMS করতে হবে। উদাহরণ: SUST<space>HELP<space>SYL<space 123456<space>2015 ভর্তি পরীক্ষার দিনে আবেদনকারীর করণীয়: প্রত্যেক ইউনিটের জন্য ছাত্র/ছাত্রীদের সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি ও ২ কপি প্রবেশপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। ভর্তি সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে ০১৫৫৫৫৫৫০০১-৪ হটলাইনে অথবা admission@sust.edu -তে ই-মেইল করে যোগাযোগ করা যাবে। আসন বিন্যাস: ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.sust.edu/admission) প্রকাশ করা হবে এবং SMS এর মাধ্যমে জানানো হবে। এছাড়াও যে-কোনো মোবাইল ব্যবহার করে ১৬২২২ নম্বরে SMS করে এ-সংক্রান্ত তথ্য জেনে নিতে পারবেন। উদাহরণ: SUST<space>SEATPLAN<space>EXAMROLL পরীক্ষা পদ্ধতি: ভর্তি পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্যে ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে OMR ফরম-এ উত্তর করতে হবে। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিদেশী ভর্তিচ্ছুদের করণীয়: বিদেশী ও বিদেশে অধ্যয়ন করা বাংলাদেশি ছাত্র/ছাত্রী যারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবেন, তাদের ক্ষেত্রে ভর্তির আবেদনের জন্য SAT Score ন্যূনতম ১১০০ থাকতে হবে। এসব ছাত্র/ছাত্রীর ক্ষেত্রে আবেদন প্রক্রিয়ার শেষ তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৫। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য www.sust.edu/admission ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

শাবিতে নকলের দায়ে এক শিক্ষার্থীকে বহিস্কারের সুপারিশ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষাকক্ষে নকল করায় বহিস্কারের সুপারিশ করেছে ওই বিভাগ। ওই শিক্ষার্থীর নাম সাখাওয়াত হোসেন। সাখাওয়াত হোসেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। নৃবিজ্ঞান বিভাগ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে বিভাগের ৩/২ ব্যাচের এএনপি-৩৬৫ কোর্সের পরীক্ষা দিতে যান সাখাওয়াত। এসময় পরীক্ষা কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষকরা তাকে নকলসহ ধরেন। সাখাওয়াত হোসেন শাবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের প্রধান এ.কে.এম মাযহারুল ইসলাম জানান, সাখাওয়াত নামের এক শিক্ষার্থী ৩/২ ব্যাচের একটি কোর্সে পরীক্ষা দিতে এসে নকল করে। আমরা তার উত্তপত্র এবং নকল সংযুক্ত করে কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছি। তারা এখন ব্যাবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাখাওয়াত হোসেন ‘নকল করেননি’ এবং ‘এটি ভুল বুঝাবুঝি’ বলে মন্তব্য করেন।
এদিকে সাখাওয়াত হোসেনকে ছাত্রলীগকর্মী স্বীকার করলেও শাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ বলছেন, ‌কারো ব্যক্তিগত খারাপ কাজের দায় ছাত্রলীগ নেবে না।

শাবিতে ভর্তি পরীক্ষার নিবন্ধন: যা করতে হবে


শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে অনার্স ভর্তি নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৩ অক্টোবর। নিবন্ধন চলবে চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত। আগামী ১৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় ‘এ’ এবং দুপুর আড়াইটায় ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ভর্তি সংক্রান্ত এসব তথ্য জানান- ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর মুশতাক আহমদ। ভর্তি কমিটির সভাপতি প্রফেসর নারায়ণ সাহা জানান, এবার শাবিতে নতুন একটি বিষয় চালু হচ্ছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড, আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড, আন্তর্জাতিক পদার্থ বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এবং অন্যন্য স্বীকৃত আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে স্বর্ণ, রৌপ্য অথবা ব্রোঞ্জ মেডেলপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই তাদের পছন্দমত বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। ভর্তি পরীক্ষার জন্য যোগ্যতা: ২০১৪/২০১৫ সনে অনুষ্ঠিত এইচ.এস.সি (সাধারণ ও কারিগরি)/আলিম/ডিপ্লোমা ইন কমার্স/সমমান এবং ২০১২/২০১৩ সনে অনুষ্ঠিত এস.এস.সি (সাধারণ ও কারিগরি)/দাখিল বা সমমান পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ ছাত্র- ছাত্রীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ডিপ্লোমা-ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ ছাত্র/ছাত্রীদের ২০১০/২০১১ সালে অনুষ্ঠিত এস.এস.সি. বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। যে সব ছাত্র-ছাত্রী বিজ্ঞান শাখা থেকে এইচ.এস.সি বা সমমান পরীক্ষা পাস করেছেন তারা ‘এ’ ও ‘বি’ উভয় ইউনিটেই এবং অন্যরা শুধু ‘এ’ ইউনিটে আবেদন করতে পারবেন। ‘এ’ ইউনিটে আবেদন করার জন্যে এইচ.এস.সি/সমমান ও এস.এস.সি./সমমান উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.০ সহ মোট ৬.৫ থাকতে হবে। ‘বি’ ইউনিটে আবেদন করার জন্যে এইচ.এস.সি/সমমান ও এস.এস.সি./সমমান উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.০ সহ মোট ৭.০ থাকতে হবে। জি.সি.ই. ‘ও’ লেভেলে কমপক্ষে ৩টি বিষয়ে বি গ্রেডসহ ৫টি বিষয়ে পাস এবং জি.সি.ই. ‘এ’ লেভেলে কমপক্ষে ২টি বিষয়ে বি গ্রেডসহ ৩টি বিষয়ে পাস থাকতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া: যদি কোনো ছাত্র/ছাত্রী ‘এ’ ও ‘বি’ উভয় ইউনিটে পরীক্ষা দিতে চান, তাহলে উভয় ইউনিটে আলাদা আলাদা আবেদন করতে হবে। সাব-ইউনিটগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে, কোনো একটি সাব-ইউনিটে আবেদন করলে ওই ইউনিটের অন্য সাব-ইউনিটে আবেদন করা যাবে না। আবেদন করার জন্যে একটি প্রিপেইড টেলিটক মোবাইল ফোন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম (SUST), এইচ.এস.সি./সমমান শিক্ষা বোর্ডের নামের কোড, এইচ.এস.সি./সমমান পরীক্ষার রোল নম্বর, পাসের সাল এবং এস.এস.সি./সমমান শিক্ষা বোর্ডের নামের কোড, এস.এস.সি./সমমান পরীক্ষার রোল নম্বর, পাসের সাল, সাব-ইউনিটের কী ওয়ার্ড (A, B1, B2, B3, B4) লিখে ১৬২২২ নম্বরে SMS করতে হবে। উদাহরণ: SUST SYL 123456 2015 SYL 654321 2013 A এখানে 123456 এবং 654321 যথাক্রমে এইচএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার রোল নম্বর। শিক্ষাবোর্ড থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার যোগ্য হলে তার মোবাইল ফোন থেকে নির্ধারিত ফি কেটে নিয়ে তাকে ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর, প্রবেশপত্রের জন্য একটি USER ID এবং PASSWORD জানিয়ে দেয়া হবে। যা নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রবেশপত্র প্রিন্ট: প্রবেশপত্রের জন্য http://sust.teletalk.com.bd/ ওয়েব সাইটে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের USER ID এবং PASSWORD ব্যবহার করে প্রবেশপত্র প্রিন্ট অপশন থেকে আবেদনকারীকে ২ (দুই) কপি প্রবেশপত্র সাদা A4 সাইজ কাগজে প্রিন্ট নিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত প্রবেশপত্র প্রিন্ট করা যাবে। কেউ যদি উভয় ইউনিটে আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে প্রতিটি ইউনিটের জন্য একই নিয়মে আলাদাভাবে প্রবেশপত্র প্রিন্ট করতে হবে। USER ID এবং PASSWORD হারিয়ে গেলে SUSTHELPএইচ.এস.সি/সমমান শিক্ষাবোর্ডের নামের কোড এইচ.এস.সি/সমমান পরীক্ষার রোল নম্বর এইচ.এস.সি/সমমান পরীক্ষার পাসের সাল লিখে 16222 নম্বরে SMS করতে হবে। উদাহরণ: SUSTHELPSYL2015 ভর্তি পরীক্ষার দিনে আবেদনকারীর করণীয়: প্রত্যেক ইউনিটের জন্য ছাত্র/ছাত্রীদের সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি ও ২ কপি প্রবেশপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। ভর্তি সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে ০১৫৫৫৫৫৫০০১-৪ হটলাইনে অথবা admission@sust.edu -তে ই-মেইল করে যোগাযোগ করা যাবে। আসন বিন্যাস: ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.sust.edu/admission) প্রকাশ করা হবে এবং SMS এর মাধ্যমে জানানো হবে। এছাড়াও যে-কোনো মোবাইল ব্যবহার করে ১৬২২২ নম্বরে SMS করে এ-সংক্রান্ত তথ্য জেনে নিতে পারবেন। উদাহরণ: SUSTSEATPLANEXAMROLL পরীক্ষা পদ্ধতি: ভর্তি পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্যে ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে OMR ফরম-এ উত্তর করতে হবে। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিদেশী ভর্তিচ্ছুদের করণীয়: বিদেশী ও বিদেশে অধ্যয়ন করা বাংলাদেশি ছাত্র/ছাত্রী যারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবেন, তাদের ক্ষেত্রে ভর্তির আবেদনের জন্য SAT Score ন্যূনতম ১১০০ থাকতে হবে। এসব ছাত্র/ছাত্রীর ক্ষেত্রে আবেদন প্রক্রিয়ার শেষ তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৫। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য www.sust.edu/admission ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই সংশোধনী করা যাবে


<<<ঘোষণা>>> জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র একবার কলেজ বাতিল/ বিষয় পরিবর্তন করে নতুনভাবে আবেদন করা যায়। প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই সংশোধনী করা যাবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স কোর্সে মাদ্রাসা বোর্ড, কারিগরী বোর্ডসহ অন্যান্য বোর্ডের শিক্ষার্থীরা এখন থেকে আবেদন করতে পারবে


সুখবর! সুখবর!! সুখবর!!! জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স কোর্সে আবেদনের জন্য মাদ্রাসা বোর্ড, কারিগরী বোর্ডসহ অন্যান্য বোর্ডের শিক্ষার্থীদের যে সকল সমস্যা ছিল তা সমাধান হয়েছে। যারা ইতিমধ্যে আবেদন করনি তারা ইচ্ছা করলে এখন থেকে আবেদন করতে পারবে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন শুরু হবে আগামী ১৩ অক্টোবর


বহুল প্রত্যাশিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন শুরু হবে আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে আর শেষ হবে ৩০ অক্টোবর। বিস্তারিত আসছে.......

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অাবেদন চলছে...


পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অাবেদন চলছে... * জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, আবেদনের শেষ সময়: ০৮ অক্টোবর। * কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, আবেদনের শেষ সময়: ২০ অক্টোবর। * রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, আবেদনের শেষ সময়: ১৮ অক্টোবর। * বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আবেদনের শেষ সময়: ৩০ অক্টোবর। * বুটেক্স, আবেদনের শেষ সময়: ২০ অক্টোবর। * নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়, আবেদনের শেষ সময়: ২৫ অক্টোবর। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন শীঘ্রই শুরু হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন আবেদনে বিশেষ সতর্কতা:


এ বছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পূর্বেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রম শুরু করায় ভাল কলেজে চান্স পেতে নূন্যতম জিপিএ ৭-৮ লাগতে পারে। যাদের জিপিএ ৫-৬ তাদের উচিত হবে উপজেলা পর্যায়ের কলেজে আবেদন করে ভাল একটি বিষয়ে ভর্তি নিশ্চিত করা। সুতরাং শিক্ষার্থীর এসএসসি ও এইচএসসি'র প্রাপ্ত জিপিএ অনুযায়ী ভেবে-চিন্তে সঠিক কলেজটি পছন্দ করলে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। দিত্বীয়ত: বিষয় পছন্দক্রম-এ সবগুলো বিষয় দেয়া ভাল। যে বিষয়টি পড়তে বেশি ইচ্ছুক সেটিই সর্বপ্রথম দিয়ে ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য বিষয়গুলো দেয়া উচিত। এক্ষেত্রে শিক্ষাথীরা প্রয়োজনে অভিভাবকের সাহায্য নিতে পারেন। বি.দ্র: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র আগামীকাল বিকাল ৫টার পর থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স কোর্সে ভর্তির প্রাথমিক অাবেদন। ভর্তি সম্পর্কিত কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা:


ভর্তি সম্পর্কিত কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা: প্রশ্ন-০১: আবেদনের শেষ তারিখ কখন? উত্তর: আগামী ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ। প্রশ্ন-০২: কয়টি কলেজে অাবেদন করা যাবে। উত্তর: একজন শিক্ষার্থী শুধুমাত্র ১টি কলেজে আবেদন করতে পারবে। প্রশ্ন-০৩: এবছর কি ভর্তি পরীক্ষা হবে না? উত্তর: না এবছর ভর্তি পরীক্ষা হবে না। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর উপর ভিত্তি করে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হবে। প্রশ্ন-০৪: চান্স পেতে মোট কত জিপিএ লাগবে? উত্তর: নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি মিলে মোট ৪.০০ পয়েন্ট হলেই আবেদন করা যাবে কিন্তু জেলা শহরের ভাল ও সরকারী কলেজগুলোতে চান্স পেতে নূন্যতম জিপিএ ৭.০০ থেকে ৮.০০ লাগতে পারে। প্রশ্ন-০৫: অাবেদন করতে কি কি লাগবে? উত্তর: অনলাইনে আবেদন করতে লাগবে- এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রোল নং এবং ১টি ভাল মানের পাসপোর্ট সাইজের ছবি। আর পূরনকৃত ফরমটির সাথে এসএসসি ও এইচএসসি পাশের মার্কসীট, রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপি এবং ফি ২৫০টাকা ভর্তিচ্ছু কলেজে জমা দিতে হবে। প্রশ্ন-০৬: আমি ২০১৪ সালে এইচএসসি পাস করেছি। আমি কি আবেদন করতে পারব? উত্তর: হ্যাঁ শুধুমাত্র ২০১৪ ও ২০১৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। সঠিক বিষয় পছন্দক্রম ও নির্ভুল ফরম পূরণের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।

Sunday, 23 August 2015

লিখিত পরীক্ষার লড়াই -৩৫তম বিসিএস

লিখিত পরীক্ষার লড়াই
৩৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। হাতে আছে মাত্র সপ্তাহ খানেক সময়। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা করবেন ২০ হাজার ৩৯১ জন। ১ হাজার ৮০৩টি শূন্য পদের বিপরীতে পরীক্ষাটি কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, তা সহজেই বোঝা যায়। তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই, প্রয়োজন শুধু সঠিক পরিকল্পনার। পরীক্ষা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করবেন না। এখন সময় আপনার পড়া বিষয়গুলোই ঝালিয়ে নেওয়ার। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে কম সময় ব্যয় করুন। প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা পড়ুন। অনেকে হয়তো চাকরি করেন, তাঁদের বলব, নিজের সুবিধামতো সময় বের করে নিন।
বিসিএসে তিনটি পরীক্ষার মধ্যে শুধু লিখিত পরীক্ষার সুনির্দিষ্ট সিলেবাস আছে। লিখিত পরীক্ষা গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে হয়। নতুন সিলেবাসে এবারই প্রথম পরীক্ষা। পরীক্ষার সময়ও বেড়েছে বেশ কয়েকটি বিষয়ের। সুতরাং প্রস্তুতির শুরুতেই সেটি মাথায় রাখতে হবে। সিলেবাসের কোন বিষয়ে আপনার দুর্বলতা আছে, তা শনাক্ত করে দ্রুত উত্তরণের উপায় খুঁজতে হবে। কোনো ক্ষেত্রে ধারণা কম থাকলে তাতে জোর দিতে হবে আজই। কারণ, কোনো বিষয় একেবারেই না পড়ে গেলে পরীক্ষায় নিজের মতো করে লেখাটাও সহজ হবে না।
ইংরেজি পরীক্ষায় কম্প্রিহেনসনের মূল বিষয়টি ভালোভাবে বোঝাটা খুব জরুরি। সারমর্মে প্যাসেজের কোনো লাইন সরাসরি কপি করবেন না। একই শব্দ পুনরাবৃত্তি না করে সমার্থক শব্দ ব্যবহারের চেষ্টা করবেন। এই ক্ষেত্রে ভোকাবুলারি ভালো হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাদ, উদ্ধৃতি, তথ্য-উপাত্তের প্রয়োগ আপনার ইংরেজি রচনাকে সমৃদ্ধ করবে। অনুবাদের জন্য বিগত সালের পরীক্ষায় আসা অনুবাদগুলো চর্চা করুন। ক্ষেত্রবিশেষে ভাবানুবাদ আক্ষরিক অনুবাদের চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য। বানান ও গ্রামারের ব্যাপারে বিশেষভাবে সচেতন থাকবেন।
বাংলা বিষয়ে একটু গুরুত্ব দিয়ে বলতে চাই, অন্য বিষয় থেকে এই সিলেবাস অধিকতর বড়। বাংলায় আপনি যদি অন্তত বিভিন্ন দরখাস্ত, মানপত্র বা চিঠি ইত্যাদি লেখার নিয়ম আয়ত্ত করতে পারেন, তাহলে যেকোনো ধরনের পত্র পরীক্ষায় আসুক না কেন, আপনি তার উত্তর লিখতে পারবেন। বিভিন্ন সাহিত্যিক ও তাঁদের সাহিত্য সম্পর্কে ধারণা রাখাটা জরুরি। গ্রন্থ-সমালোচনার ক্ষেত্রে বলতে চাই, আপনার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিটিই লিখুন।
বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য বই ও পত্রপত্রিকার পাশাপাশি নির্ভর করতে পারেন অন্তর্জালের ওপর। কোনো বিষয় মাথায় এলেই গুগলে সার্চ করে জেনে নিন। পরীক্ষায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে যিনি যত সুস্পষ্ট উত্তর লিখতে পারবেন, তিনি তত বেশি নম্বর পাবেন। তথ্যসূত্র হিসেবে বিভিন্ন লেখকের রচনা, পত্রিকার কলাম ও সম্পাদকীয়, বিভিন্ন সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট, সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা ও ব্যাখ্যা, উইকিপিডিয়া, ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল ও আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।
গাণিতিক যুক্তি বিষয়ে যেহেতু পূর্ণ নম্বর পাওয়া সম্ভব, সেহেতু অনুশীলনের ওপর জোর দিন। মানসিক দক্ষতা পরীক্ষায় ভুল উত্তরে নম্বর কাটা যাবে, তাই উত্তর দেওয়ার আগে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে নিন। সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট বইগুলোর সঙ্গে আগের বছরের প্রশ্নগুলোতে চোখ বুলিয়ে নিন।
লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নের গুরুত্ব ও নম্বরের ভিত্তিতে সময় বণ্টন লেখা শুরু করার আগেই ঠিক করে নিন। প্রশ্নের উত্তর বড় হতেই হবে, এমন কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। সময় বেঁধে পরীক্ষা দেওয়ার অনুশীলন আপনার ভয় ও জড়তা কাটাতে সাহায্য করবে।
সামনে আর মাত্র দুটি ধাপ। মনোবল ধরে রেখে পড়াশোনা করুন নিয়মিত। আর অবসরে ভালো লাগার বিষয় নিয়ে মগ্ন থাকুন। আত্মবিশ্বাস, একাগ্রতা আর অনুশীলনের সঠিক মিশেলই হতে পারে আপনার সাফল্যের সহায়।

Saturday, 22 August 2015

১ অক্টোবর থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু



২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরিচালনা কমিটির এক সভা আজ বেলা ২:০০ টায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১লা অক্টোবর ২০১৫ থেকে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু এবং ১ ডিসেম্বর ২০১৫ থেকে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাশ শুরুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য শিক্ষার্থীদের যথাসময়ে জানানো হবে।
স্বা:-
(মোঃ ফয়জুল করিম)
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতর
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ফোন: ০১৭১১ ৫৬২১২৪

Wednesday, 19 August 2015

MMC H2 Admission Info

You need nothing but Your roll number and Tk 8900 to get admit .
Admission can be processed by several agency near Lamabazar Campus .
That's all ..
Be officially second year student smile emoticon
thankyou.

Tuesday, 11 August 2015

২০১৩ সালের ডিগ্রি পাস ব্যবহারিক পরীক্ষার ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ, ডাটা এন্ট্রি, নম্বরফর্দ প্রেরণ ও সংরক্ষণের নির্দেশাবলী।


২০১৩ সালের ডিগ্রি পাস ব্যবহারিক পরীক্ষার ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ, ডাটা এন্ট্রি, নম্বরফর্দ প্রেরণ ও সংরক্ষণের নির্দেশাবলী।

Monday, 10 August 2015

২০১৫ সালে এমএড পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচী

২০১৫ সালে এমএড পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচী।

2012 masters last term exam corrected schedule [২০১২ সালের মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচী]


২০১২ সালের মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচী।

Thursday, 6 August 2015

2013 masters 1st term examination schedule (২০১৩ সালের মাস্টার্স ১ম পর্ব পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচী।)


২০১৩ সালের মাস্টার্স ১ম পর্ব পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচী।

Tuesday, 4 August 2015

2014 degree (pass), private and certificate course (1st year) examination form fill up emergency notice


২০১৪ সালের স্নাতক (পাস), প্রাইভেট ও সার্টিফিকেট কোর্স (১ম বর্ষ বিশেষ) পরীক্ষার ফরম সংক্রান্ত জরুরী বিজ্ঞপ্তি।

Thursday, 30 July 2015

2013 masters 1st term examination Application Form fill up related notice


২০১৩ সালের মাস্টার্স ১ম পর্ব পরীক্ষার আবেদন ফরম পূরনের সময় বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি।

2014 honors 2nd year examination corrected form fillup schedule (২০১৪ সালের অনার্স-২য় বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের সংশোধিত নতুন সময়সূচী।)


২০১৪ সালের অনার্স-২য় বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের সংশোধিত নতুন সময়সূচী।

Tuesday, 14 July 2015

Thursday, 9 July 2015

Monday, 6 July 2015

From mofiz to mashrafi: 26 questions BCS Preparation (ফ্রম মফিজ টু মাশরাফিঃ ছাব্বিশ প্রশ্নে বিসিএস প্রস্তুতি) by Mashroof Hossain, Senior ASP at Bangladesh Police


প্রিয় পাঠক, বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের আগ্রহের কোন সীমা পরিসীমা নেই। দুহাজার দশ সালে চাকুরিতে যোগদানের পর এই পাঁচ বছরে বিচিত্র সব প্রশ্নের সম্মুক্ষীন হয়েছি বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে, লিখেছি ডজন খানেক আর্টিকেল।আজকে এই বিশাল আর্টিকেল দিয়ে চেষ্টা করব বিগত পাঁচ বছরে অর্জিত যাবতীয় জ্ঞানের সংক্ষিপ্ত রূপ এখানে প্রকাশ করতে।আমি ধরে নিচ্ছি বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে প্রার্থীর বিন্দুমাত্র জ্ঞান নেই।এখানে পাঁচটি সেকশনে মোট ছাব্বিশটি প্রশ্নের উত্তর দেবার মাধ্যমে আমি “মফিজ” ক্যান্ডিডেটকে “মাশরাফি” বানাতে চেষ্টা করব।প্রসেসটা হবে এরকমঃ
এই আর্টিকেলে মোট পাঁচটি অংশ থাকবে, প্রতিটা অংশের অধীনে পাঁচটি করে মোট পঁচিশটি প্রশ্ন। সর্বশেষ একটা প্রশ্ন হবে বোনাস, যেটার মাধ্যমে আমি আমার বিসিএস সংক্রান্ত যাবতীয় জ্ঞানের সারতত্ত্ব বলে দেব।এই আর্টিকেল পড়তে যাঁদের সময় নেই, সোজা ২৬ নম্বর প্রশ্নে চলে যান!
বাকিদের জন্যে বলছি, ধরে রাখুন! এবার আসুন দেখি পাঁচটা অংশ কি কি। ইচ্ছে করে নম্বর দিয়ে আলাদা করে দিলাম যাতে আপনারা যার যে সেকশন প্রয়োজন সে সেকশানে দ্রুত চলে যেতে পারেনঃ
বিসিএস পরীক্ষা কিঃ ১) বিসিএস পরীক্ষা জিনিসটা কি? খায় না মাথায় দেয়?উত্তরঃ বিসিএস এর পুরো অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস, আর বিসিএস পরীক্ষা হচ্ছে এই সিভিল সার্ভিসে ঢোকার জন্যে যে পরীক্ষা সেটা।২) সিভিল সার্ভিস জিনিসটা কি?উত্তরঃ সিভিল সার্ভিস হচ্ছে সরকারী চাকুরি। যে কোন দেশে সরকারী চাকুরি মোটামুটি দু ভাগে বিভক্তঃ মিলিটারি আর সিভিল। মিলিটারি বলতে আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স বোঝায়, আর সিভিল সার্ভিস বলতে প্রশাসন(মানে যাঁরা ম্যাজিস্ট্রেট, জেলার ডিসি, মন্ত্রনালয়ের সচিব এসব হন), পুলিশ, ট্যাক্স , পররাষ্ট্র, কাস্টমস , অডিট , শিক্ষা ইত্যাদি ২৯ টি সার্ভিসকে বোঝায়। এছাড়া জুডিশিয়াল সার্ভিস আছে, বিভিন্ন স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আছে- তাঁদের এ আর্টিকেল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ৩) ক্যাডার মানে কি?উত্তরঃ ক্যাডার মানে হচ্ছে কোন সুনির্দিষ্ট কাজ করার জন্যে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল।সরকারী চাকুরির সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করতে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হয়, তাই এদের সিভিল সার্ভিস ক্যাডার বা বিসিএস ক্যাডার বলা হয়। উল্লেখ্য, এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্ত্রধারী সন্তাসী বা দলীয় ক্যাডারের কোন সম্পর্ক নেই।
৪)বিসিএস অফিসারদেরকে প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড অফিসার বলা হয় কেন? উত্তরঃ বাংলাদেশ সরকারের চাকুরিতে চারটি শ্রেনী আছে, যার সর্বোচ্চ শ্রেনীটাকে বলা হয় প্রথম শ্রেনী বা ফার্স্ট ক্লাস। এদের নিয়োগের সময় সরকারী গেজেট বা বিজ্ঞপ্তি বের হয়, স্বয়ং প্রেসিডেন্ট এদের নিয়োগ দিয়ে থাকেন।সামগ্রিক দিক বিবেচনায় মান মর্যাদা, দায়িত্ব-কর্তব্যের পরিধি এবং সুযোগ সুবিধার দিক দিয়ে প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড অফিসারগণ তুলনামূলক ভালো অবস্থানে থাকেন। ৫) ক্যাডার কত প্রকার?উত্তরঃ বিসিএস ক্যাডার মূলতঃ দুই প্রকার। জেনারেল ( পুলিশ, এডমিন, পররাষ্ট্র ইত্যাদি) এবং টেকনিকাল ( শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, সড়ক ও জনপদ ইত্যাদি) জেনারেল ক্যাডারে যে কেউ যে কোন সাবজেক্ট থেকে পরীক্ষা দিয়ে চাকুরি করতে পারেন, কিন্তু টেকনিকাল ক্যাডারে চাকুরি করতে হলে নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা লাগবে। যেমন , এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ সরকারী ডাক্তার হয়ে চাকুরি করতে পারবেন না।
কাদের জন্য বিসিএস পরীক্ষা? ৬) বিসিএস পরীক্ষা দেবার যোগ্যতা কি? উত্তরঃ বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, নির্দিষ্ট বয়েসসীমার ভেতরে বয়েস থাকতে হবে, যে কোন বিষয়ে চার বছরের অনার্স বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।তিন বছরের অনার্স ও এক বছরের মাস্টার্স করা প্রার্থীরাও পরীক্ষা দিতে পারবেন।বিদেশে পড়াশোনা করা ছাত্রছাত্রীরাও শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে তাদের ডিগ্রি বাংলাদেশের চার বছরের ডিগ্রির সমান- এই সার্টিফিকেট দেখিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলের শেষে এবছরের বিসিএস পরীক্ষার সার্কুলারের লিঙ্ক যোগ করে দিয়েছি, দেখে নিন Exam Circular
৭) ভাইয়া আমি তো ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার/আর্কিটেক্ট/ সেক্সোলজিস্ট। আমি কি বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে পুলিশ, ডিপ্লোম্যাট, ট্যাক্স অফিসার ইত্যাদি হতে পারব? নাকি আমি ডাক্তার বলে আমাকে স্বাস্থ্য সার্ভিসেই যেতে হবে?উত্তরঃ অবশ্যই পারবেন। কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার এই টেকনিকাল ডিগ্রি বিশাল সুবিধা বয়ে আনবে। যেমন, আপনি যদি ডাক্তার হয়ে পুলিশে যোগদান করেন, সেক্ষেত্রে ইউ এন মিশন গুলোতে আপনাকে নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যাবে।আপনি যেমন এক দিক দিয়ে পুলিশের প্রধানও হয়ে যেতে পারেন, আরেক দিক দিয়ে ডাক্তারি প্র্যাকটিসও করতে পারবেন অনুমতি সাপেক্ষে। আপনি ইঞ্জিনিয়ার হলে পুলিশে বিভিন্ন টেকনিকাল ক্রাইমের ট্রেনিং এ আপনাকে প্রাধান্য দেয়া হবে। বহু ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার আছেন যারা টেকনিকাল ক্যাডারে না গিয়ে সচিব, রাষ্ট্রদূত ইত্যাদি হয়েছেন। ইংরেজি পড়েছেন বলেই শেকস্পীয়ার হতে হবে, এই ধারণা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
৮ ) ভাইয়া, আমি তো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় , বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়, মফস্বলের ডিগ্রি কলেজ , মঙ্গলগ্রহের এলিয়েন একাডেমি এসব জায়গা থেকে পড়াশোনা করেছি। আমি কি বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারব?উত্তরঃ ভাই, আপনি যেখানেই পড়েন না কেন, আপনার যদি লাইফে একটার বেশি থার্ড ক্লাস না থাকে এবং আপনি যদি ৬ নম্বর প্রশ্নে বলা শিক্ষাগত যোগ্যতা পূরণ করে থাকেন- আপনি পরীক্ষা দিতে পারবেন।ইংলিশ মিডিয়ামের/মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরাও পরীক্ষা দিতে পারবেন। আপনার প্রতিষ্ঠান না, পরীক্ষার খাতায় আপনি কি লিখছেন তার উপর নির্ভর করবে আপনি চাকুরি পাবেন কি পাবেন না।
৯) ভাইয়া, সিভিল সার্ভিসের মেডিকেল টেস্ট কেমন হয়? পুলিশের মেডিকেল টেস্ট কি আর্মির মত হয়? এই মেডিকেল টেস্টে কি বাদ পড়ার সম্ভাবনা থাকে? উত্তরঃ সিভিল সার্ভিসের মেডিকেল টেস্ট একেবারেই সাধারণ এবং বেসিক হয়,যে কোন সরকারী হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করলেই জানতে পারবেন।আপনার যদি অতি গুরুতর কোন সমস্যা না থাকে, সেক্ষেত্রে বাদ পড়ার সম্ভাবনা নেই। পুলিশের মেডিকেল টেস্ট বাকি সব ক্যাডারদের মতই হয়, আলাদা না। শুধুমাত্র উচ্চতা আর ওজনে পার্থক্য আছে কিছুটা, যেটা আপনাদের সুবিধার্থে নীচের ছবিতে দিয়ে দিলামঃ পুলিশের ক্ষেত্রে চোখের নিয়ম হচ্ছে, আপনার চোখ যা-ই হোক না কেন, যদি চশমা পরার পর সেটা ৬/৬ হয় তাহলে কোন সমস্যা নেই।
১০) ভাইয়া, শুনেছি অনার্স কমপ্লিট না করেও বিসিএস পরীক্ষা দেয়া যায়, এটা কি সত্যি?উত্তরঃ না, অনার্স না করে পরীক্ষা দেয়া যায়না। তবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত তারিখের মধ্যে অনার্স এর সব পরীক্ষা শেষ হয়েছে কিন্তু রেজাল্ট দেয়া বাকি আছে- এরকম হলে বিভাগীয় পরীক্ষার প্রধানের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে পরীক্ষা দেয়া যায়। পরবর্তীতে ভাইভার সময় মূল সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে হয়।এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত লেখা আছে, আর্টিকেলের শেষে দেয়া লিঙ্কে ক্লিকি করে পড়ে নিন।
কোন সার্ভিসে ঢুকবেন? ১১) ভাইয়া, ক্যাডার চয়েস কিভাবে দেব? কোন সার্ভিস আমার জন্যে ভাল হবে?উত্তরঃ আমার অনেক আগে বানানো একটা লিঙ্ক দিই আগেঃ BCS preparationউপরের লিঙ্কে গিয়ে “শুরুর কথা” অংশের এক থেকে সাত নম্বর পয়েন্ট পড়ুন, বুঝে যাবেন কিভাবে ক্যাডার চয়েস দিতে হবে। বোনাস হিসেবে পাবেন পুলিশ ক্যাডার সম্পর্কে বিস্তারিত। এবার সুজন দেবনাথ ভাই( বিসিএস ফরেন সার্ভিস- ২৮তম ব্যাচ) এর একটা লিঙ্ক দেইঃ BCS tipsএই লিঙ্কে গেলে বিভিন্ন ক্যাডার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা পাবেন।
১২) ভাইয়া, ক্যাডার চয়েস কি বদলানো যায়?উত্তরঃ না, একবার ফর্ম জমা দেবার পর সেই ক্যাডার চয়েস বদলানোর সুযোগ নেই। তবে কেউ কেউ পরের বার আবার বিসিএস দিয়ে পছন্দের ক্যাডারে কোয়ালিফাই করে সেটাতে চলে গিয়েছেন।
১৩) ভাইয়া, ক্যাডার চয়েসের উপর সিলেকশন কিভাবে হয়?উত্তরঃ আপনি প্রথম, দ্বিতীয় তৃতীয় এভাবে দশ বারোটা চয়েস দিলেন। পরীক্ষায় আপনার প্রাপ্ত নম্বর এবং আপনার ক্যাডার চয়েসের পছন্দক্রমের উপর নির্ভর করে আপনাকে কোন নির্দিষ্ট ক্যাডারে সিলেক্ট করা হবে। আপনার পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এখানে মূল ভূমিকা পালন করবে। ধরা যাক, আপনার প্রথম পছন্দ পুলিশ, আরেকজনের প্রথম পছন্দ ফরেন সার্ভিস, দ্বিতীয় পছন্দ পুলিশ। দ্বিতীয়জন যদি ফরেন সার্ভিস না পায় কিন্তু আপনার চেয়ে ওর নাম্বার বেশি থাকে- তাহলে দ্বিতীয় পছন্দ হওয়া সত্বেও সে আপনার আগে পুলিশ পাবে।
১৪) কতগুলো ক্যাডার চয়েস দেব?এ প্রশ্নের উত্তরে আমার অগ্রজ ও সহকর্মী ফরেন সার্ভিস অফিসার সুজন দেবনাথের কথা সরাসরি লিখছি- “আমার অভিমত হল - যেই চাকরিগুলো হলে আপনি অবশ্যই করবেন, শুধু সেগুলোই চয়েস দিন। এক্ষেত্রে ২টা ইস্যু। (১) যারা বিসিএসে যে কোন ক্যাডার হলেই চাকরি করবেন, তাঁরা সার্কুলার দেখে যেগুলোতে এপ্লাই করতে পারবেন, সবগুলো চয়েস দিয়ে দিন। (২) আর যারা মনে করেন - কয়েকটা ক্যাডার না হলে আসলেই চাকরি করবেন না, তাঁরা প্লিস অন্য ক্যাডার চয়েস দিয়েন না। চাকরি হল আর আপনি জয়েন করলেন না বা কিছুদিন পরে ছেড়ে দিলেন, সেটা সবার জন্য খারাপ। দেশের জন্যও খারাপ। তখন আমার ২৮-তম এর ফাইনাল রেজাল্ট ও মেডিকেল হয়ে গেছে। কিন্তু গেজেট তখনও হয়নি। সেই সময় ২৯-তম বিসিএসের ভাইভা শুরু হয়ে গেল। এখন ২৮ আর ২৯ দুটোতেই আমার ফার্স্ট চয়েস ফরেন। আমি ২৯-তমের ভাইভা দিতেই গেলাম না। ভাবলাম - একটা পোস্ট নষ্ট করব কেন। আমার পরিচিত বেশ কয়েকজনকে দেখলাম - ২৮তমে ফার্স্ট চয়েস পেয়েও আবার ২৯-এ ভাইভা দিলেন। বললেন, তখনও গেজেট হয়নি। কী হয় কিছু বলা যায় না। রিস্ক তো আছেই। যাই হোক, তাঁরা বেশি সতর্কতামূলকভাবে এটা করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে এটা দোষের নয়। আইনসিদ্ধও বটে। কিন্তু যেটা হয়েছে, অনেকেই ২বার চাকরি পেয়েছে। আর দ্বিতীয়বার জয়েন করেনি। সে পোস্টগুলো ফাঁকা গেছে। কিছু নাকি কোটা থেকে পুরণ করেছে। এতে সরকারের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও অনেক পোস্ট খালিই থেকেছে। আর কিছু যোগ্য লোক চাকরি পায়নি। হয়তো তাঁদের বয়স চলে গেছে। তাই আপনি যে চাকরিটা পেলে আসলেই করবেন, শুধু সেটাই চয়েস দিন। তবে যারা ক্যাডার চেঞ্জ করতে আবার পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাঁদের জন্য ঠিকই আছে”।
১৫) সার্কুলারে কোন একটা ক্যাডারে অল্প ক’টা পোস্ট আছে। তো সেটা কি চয়েসে দিব?এ প্রশ্নটাও সরাসরি সুজন দেবনাথের ভাষায় উত্তর দিচ্ছিঃ “আমার ২৮-তম বিসিএস-এর চয়েস নির্ধারণ করতে গিয়ে দেখি অডিটে মাত্র ২/৩ পোস্ট। তো বন্ধু বলল, এটা চয়েসেই দিবে না। কোটা বাদ দিলে ১/২ পোস্ট - সেটা চয়েসে দিয়ে কী হবে? এটা একেবারেই ভুল কথা। পোস্ট বেশি থাক আর কম থাক নিজে যেই চাকরিটা আগে করতে চান সেভাবেই চয়েস দিন। আর পোস্ট পরবর্তীতে বাড়াতে বা কমাতে পারে। সাধারণত কমায় না। কখনও কখনও বাড়ায়। তাই যেসব ক্যাডারের সার্কুলার হয়েছে, সেগুলোতে আপনার পছন্দমত সিরিয়ালে চয়েস দিয়ে দিন।“
১৬) ভাইয়া আমার কোন গাইডলাইন নেই, আমি জানিই না কিভাবে শুরু করতে হবে। কি করতে পারি? উত্তরঃ একেবারে সঠিক জায়গাতে এসেছেন। শুরু করুন আমার এই লেখাটি দিয়ে- dropbox
বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি, রিটেন এবং ভাইভা নিয়ে ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে লেখা ২৫ পৃষ্ঠার এ ডকুমেন্টটি আপনাকে একেবারে শূন্য থেকে কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন সে বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান দেবে।
আমার শ্রদ্ধেয় বড়ভাই সুজন দেবনাথ পরিবর্তিত প্রিলি সিলেবাস নিয়ে একটি চমৎকার নোট লিখেছেন। এবারের প্রিলি পরীক্ষার্থীদের জন্যে এটি মাস্ট রীডঃ Dropbox
এবার বিসিএস পরীক্ষায় সারাদেশে প্রথম হওয়া আমার ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু সুশান্ত পালের ফেসবুক নোটসের লিঙ্ক দিইঃ noteএখানে বিভিন্ন বিষয়ে দেড়শ নোট আছে, ও অসাধারণ লেখক। এর মধ্যে যতগুলো নোট বিসিএস প্রস্তুতি ও ক্যারিয়ার আড্ডা নিয়ে পাবেন, প্রত্যেকটা পড়ে ফেলুন। আমি কয়েকটার ছবি দিলামঃ
মনে রাখবেন, বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সুশান্ত পালই শেষ কথা।
১৭) ভাইয়া, কোচিং করাটা কি জরুরী?উত্তরঃ এ ব্যাপারে আবারও সুজন ভাইয়ের স্মরন নিইঃ"প্রথমেই বলি আমি প্রিলি, রিটেন বা ভাইভা কোন কিছুর জন্যই কোচিং করি নাই, তবে বন্ধুদের কাছ থেকে কিছু কোচিং টাইপের ম্যাটেরিয়াল জোগাড় করেছিলাম। যদিও পরে একাধিক কোচিং দীর্ঘদিন ধরে আমার নাম ও ছবি তাঁদের প্রোসপেকটাসে দিয়ে গেছে, কেন দিচ্ছে জানতে চাইলে মাপ চেয়েছে কিন্তু পরের বছর আবার দিয়েছে। যাই হোক – আপনাকে আগের প্রশ্ন এবং সিলেবাস দেখে প্রিপারেশান নিতে হবে। তাতে আপনি কোচিং করুন আর নাই করুন। কোচিংয়ে কিছু রেডীমেইড জিনিস (লেকচার শিট টাইপের) দেয়া হয় আর পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেয়া হয়। এ দুটো জিনিস কিছুটা হলেও আপনাকে সাহায্য করবে। আর পড়ানো বা শেখানো সেটা পাওয়া যায় খুব সামান্য। প্রতিটা কোচিংয়েই দু’একজন ভাল শিক্ষক আছে যাদের ক্লাশে আপনি কিছু পাবেন আর বাকি ক্লাশগুলো থেকে কিছুই শেখার নেই। বিশেষজ্ঞ ভাব নিয়ে মার্কেটিং চাপাবাজি চলে। . এখন আসি আপনি ডিসিশান পয়েন্টে আসবেন কিভাবে? আমি আগেই বলেছি দুটা লাভ – ১.ম্যাটেরিয়াল, ২. মডেল টেস্ট। এখন দেখুন আপনি এ দুটো জিনিস নিজে নিজে করতে পারবেন কিনা। পারলে কোচিংয়ের দরকার নেই। আর না পারলে কোচিং করুন। ম্যাটেরিয়াল এখন বাজারে, ইন্টারনেটে বিভিন্ন শর্ট টেকনিক সবই পাওয়া যায়, এগুলো জোগাড় করুন। এরপর দেখুন, আপনি নিজে নিজে পড়ার জন্য সময় দিতে পারছেন কিনা। বন্ধুদের সাথে গ্রুপেও পড়তে পারেন। সাথে মডেল টেস্টের গাইড ও কারেন্ট এফেয়ার্স থেকে মডেল টেস্ট দিন। এগুলো যদি নিজে নিজে করতে পারেন, তাহলে কোচিংয়ের দরকার নেই। আর সময় দিতে ইচ্ছা না করলে কোচিং করুন। কোচিংয়ে যেহেতু পয়সা দিবেন, তাই একটা মানসিক চাহিদা থাকবে আর পরীক্ষার পরিবেশ মিলে কিছু সময় প্রিপারেশানের জন্যই ব্যয় হবে। এতে কিছুটা লাভ হবে। . তবে কোচিংয়ে ভর্তি হয়েই যদি ভাবেন, আপনার কাজ গেছে, তাহলেই ধরা। ভোকাবিউলারি, গ্রামার আর ম্যাথ এগুলো ধরে ধরে পড়ানোর মত লোকজন কোন কোচিংয়ে নেই। আর প্রিপারেশনের সমস্যা এগুলোতেই। বাকিগুলো সময় দিলে হয়েই যাবে কিন্তু এগুলোর জন্য নিজের ডিটারমিনেশান এবং অনেক ক্ষেত্রে কারো হেল্প লাগবে। তো আমার পরামর্শ হচ্ছে, সমস্যা চিহ্নিত করে কিভাবে সেটা সলভ করবেন, না পারলে কার সাহায্য নিবেন সেটা খুঁজে করুন। কোচিং করুন আর নাই করুন, এটা আপনাকে করতেই হবে। যে গ্রামারটা আপনি বুঝছেন না সেটা কোন বইতে কোথায় নিয়ম ও উদাহরণ দিয়ে আছে, আর নিয়মটা আপনি বুঝতে পারছেন কিনা সেটা জানতে হবে। কোন ম্যাথে প্রোবলেম হলে সেটা কার থেকে জেনে নিবেন সেটা ভাবুন। ভোকাবিউলারি শিখতে ও মনে রাখতে উপায় জানুন। আর বাকিগুলো গাইড থেকে,বই থেকে বা কোচিংয়ে সব জায়গায়ই পাবেন।"
আমার কথাঃ আমি কোচিং করেছিলাম, তবে প্রিলি ছাড়া বাকিগুলোতে খুব একটা লাভ হয়নি। কোচিং সেন্টারগুলো ভুলভাল কথা বলে আপনার আত্মবিশ্বাস-এর বারোটা বাজাতে ওস্তাদ, যাতে আপনি ওদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। কোচিং করতে গেলে ওদের চাপাবাজিতে বিভ্রান্ত হবেন না।
১৮) ভাইয়া, আমি মুখস্ত করতে পারিনা, আমার কি বিসিএস হবে?
বিসিএস পরীক্ষায় মুখস্ত করে বড়জোর প্রিলি পার হতে পারবেন, চাকুরি পাবেন না। গাদা গাদা সাধারণ জ্ঞান মুখস্ত না করতে পারলে বিসিএস পরীক্ষায় চান্স পাওয়া যায়না- এটা সর্বকালের সেরা মিথ্যা কথা। সাধারন জ্ঞান কতটা কি পড়বেন, উপরে দেয়া লিঙ্কগুলোতে খুব সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। আমার “How I Made It in the tiresome journey of BCS” আর্টিকেলটি পড়ুন, যেটার ড্রপবক্স লিঙ্ক দিয়েছি শুরুতেই ওখানের প্রথম আর্টিকেল এটি।
১৯) ভাইয়া, আমি প্রথম বার বিসিএস দিচ্ছি পরীক্ষা, আমার কি হবে?
উত্তরঃ জ্বি, হবে, যদি ঠিক মত পড়াশোনা করে পরীক্ষা দেন।আমি ২৩ বছর বয়েসে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে ২৮তম বিসিএস পরীক্ষায় পুলিশ মেধাক্রমে চতুর্থ হয়েছিলাম, পরের বিসিএসে তৃতীয়। আমার মত এইচ এস সি তে ৩.৬ জিপিএ পাওয়া প্রাইভেট ভার্সিটির গর্দভ যদি প্রথম বারেই পারে, আপনিও পারবেন। একই কথা যারা শেষবারের মত পরীক্ষা দিচ্ছেন তাদের জন্যেও প্রযোজ্য। ঠিকমত পড়াশোনা করে পূর্বের ভুলগুলো কাটিয়ে উঠুন, আপনারও চাকুরি হবে।
২০) ভাইয়া, আমার হাতের লেখা খারাপ এবং ধীর। কি করব?
আমি আমার লেখার যে লিঙ্কটি দিয়েছি, ওটা থেকে ২৫ পৃষ্ঠার ডকুমেন্টটি ডাউনলোড করে বাংলা লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে যে আর্টিকেলটি লিখেছি, ওটা পড়ুন।কি করতে হবে বুঝতে পারবেন।হাতের লেখার সৌন্দর্য এবং স্পীড বিসিএস পরীক্ষার জন্যে চরম জরুরী। উল্লেখ্য, ইংরেজিতে দখল থাকলে পরীক্ষা ইংরেজি ভাষাতেও দিতে পারেন। ২৭ তম বিসিএস পরীক্ষার ফার্স্ট বয় কামরুজ্জামান ভাই পুরো পরীক্ষাটা ইংরেজিতে দিয়েছিলেন।এবার একটু সতর্ক করি, ইংরেজি বা বাংলা যে ভাষাতেই পরীক্ষা দিন না কেন, আপনার উত্তরের মান এবং তা প্রেজেন্টেশনের উপর ফলাফল নির্ভর করবে। ভাব মারতে গিয়ে ভুলভাল ইংরেজি লিখলে চরম ধরা খাবেন। টুপিড কোশ্চেন্সঃ
২১) ভাইয়া, বিসিএস এ নাকি টাকা ছাড়া চাকুরি হয়না? “অমুক ভাই” তো শুনেছি ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকুরি পেয়েছেন, আমার এত টাকা নেই আমি কি করব?
উত্তরঃ ঠিকই শুনেছেন।আমি নিজেও টাকা দিয়েই চাকুরিতে ঢুকেছি। কত টাকা শুনবেন? সাড়ে ছয়শ টাকা। যদ্দুর মনে আছে, আমাদের সময়ে চাকুরির আবেদনপত্রের দাম ছিল পাঁচশ টাকা, আর মেডিকেল টেস্ট করাতে লেগেছিল দেড়শ টাকা- এই সাড়ে ছয়শ টাকা দিয়ে আমি চাকুরি পেয়েছি। বাংলাদেশের মত দুর্নীতিপ্রবন দেশে প্রায় সব জায়গাতেই দুর্নীতি হবার সম্ভাবনা থেকে যায়।কেউ কেউ হয়তোবা চাকুরি পায়ও। আপনার যদি এত টাকা, যোগাযোগ, ক্ষমতা ইত্যাদি থাকে, পারলে বিসিএস চাকুরি নিয়ে নিন ওটা ব্যবহার করে।আর যদি তা না থাকে, দয়া করে এসব ফালতু বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে পড়াশোনা করুন, কাজে দেবে।
২২) ভাইয়া, আমার তো “কোটা” নেই, আমার কি বিসিএস হবে?
উত্তরঃ ভাই, যেটা নেই, সেটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন কেন? যাদের কোতা আছে তারা ওটা ব্যবহার করুক, ওদের কথা চিন্তা করে আপনি আপনার সময় নষ্ট করবেন কেন? একশটা সীটের মধ্যে অন্ততঃ ৪৫টা সীট আছে আপনাদের মত নন-কোটা পরীক্ষার্থীদের জন্য। ওতার জন্য লড়াই করুন, আপনার তো দরকার মাত্র একটা সিট!
২৩) ভাইয়া, আমি দেখতে শুনতে হ্যান্ডসাম নই, মাথায় চুল কম- হাইটও কম, গায়ের রঙ কালো। আমার কি চাকুরি হবে??
উত্তরঃ ও ভাইজান, আপনি সরকারী চাকুরির পরীক্ষা দিতে এসেছেন, এসকর্ট সার্ভিসের না। আপনার চেহারা, গায়ের রঙ, গ্রাম থেকে না শহর থেকে এসেছেন- এগুলো কিচ্ছুতে কিচ্ছু যায় আসে না। বোঝা গেল?
২৪) ভাইয়া, ক্যাডার হতে গেলে কত পার্সেন্ট নম্বর পেতে হয়? আমি যদি “এত” পাই তাহলে কি আমি “অমুক” ক্যাডার পাব?
উত্তরঃ ভাই, আপনি কত পাবেন এইটা আগে থেকেই ঠিক করে ফেলতেসেন কিভাবে? আর লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীরা কে কত মার্ক্স পাবে সেটা তো আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না- তাদের নম্বর আপনার চেয়ে বেশি না কম এইটা জানবেন কেমনে? তা যদি না জানেন, কিভাবে নিশ্চিত হবেন অমুক ক্যাডার পাবেন কিনা?? মাথা থেকে এইসব ফাউল চিন্তা ঝেড়ে ফেলে পড়াশোনা করেন, ওতে নাম্বার হয়ত বাড়বে- চাকুরি পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।
২৫) ভাইয়া, পড়াশোনা করতে ইচ্ছা করেনা। একটানা পড়তেও পারিনা। কি করব?
উত্তরঃ গুগলে গিয়ে Pomodoro Technique লিখে সার্চ দিন, ভালভাবে শিখুন এটা, পড়তে গিয়ে কাজে লাগান। সংক্ষেপে বলতে গেলে, একটানা ২৫ মিনিটের বেশি কোন বিষয় পড়বেন না।২৫ মিনিট যে কোন বিষয়ে দুনিয়াদারি ভুলে গিয়ে পড়ুন, ঠিক ২৫ মিনিট পর ৫ মিনিট ব্রেক নিন, তারপর আবার ২৫ মিনিট পড়ুন। POMOTODO নামে একটা এ্যাপ আছে, এটা নামিয়ে নিয়ে কাজে লাগাতে পারেন। আমি নিজে এটা ব্যবহার করে প্রোডাক্টিভিটি বহুগুণ বাড়িয়ে ফেলেছি।বহু পিএইচডি স্টুডেন্ট এটা ব্যবহার করে সারাবিশ্বজুড়ে।বিসিএস পরীক্ষার সময় এটা আমার জানা থাকলে আমার রেজাল্ট আরো ভালো হত।
উপরের ২৫ টা প্রশ্নের উত্তর জানলে এবং উপরে দেয়া রিসোর্সগুলো ঠিকমত কাজে লাগালে আমি বাজী ধরে বলতে পারি, আপনাকে ঠেকাতে পারবে এমন বাপের ব্যাটা এখনো জন্মায়নি।
এবার মাদার অফ অল কোশ্চেন্স বা বোনাস প্রশ্নঃ
২৬) ভাইয়া , আপনার এই এতদিনের চাকুরি এবং বিসিএস পরীক্ষার অভিজ্ঞতার সারমর্ম কি?
উত্তরঃ সারমর্ম একটাই, পোকার খেলায় যেমন বিসিএস পরীক্ষাতেও তেমন- It’s not the cards you are given at hand, its how you play them. আপনার সীমিত সামর্থ্য ও দুর্বলতা মাথায় রেখেই নিজের সর্বোচ্চটুকু দিন, বিজয়মাল্য ছিনিয়ে আনতে পারবেনই।
বিসিএস পরীক্ষা মেধা যাচাই এর পরীক্ষা নয়, এটা হচ্ছে ধৈর্য ধরে লেগে থাকার পরীক্ষা।কি বীভৎস পরিশ্রম আমাকে করতে হয়েছে বিসিএস পরীক্ষায় কোয়ালিফাই করতে গিয়ে, কতবার আক্ষরিক অর্থেই মনে হয়েছে ধুৎ, বাদ দেই, এসব চুল-ছাল আমার জন্যে নয়- সে গল্প আরেকদিন হবে।
এ লেখাটি এতদূর যেহেতু পড়েছেন, আপনি এখন জানেন বিসিএস ক্যাডার হতে হলে আপনাকে কি করতে হবে।
বিজয় অথবা বীরগতি- এই মন্ত্র মাথায় রেখে লড়াই শুরু করে দিন!
(লেখাটি সঠিক ক্রেডিট দিয়ে যত ইচ্ছে শেয়ার করতে পারেন। তবে নিজের নামে চালাতে গেলে একটু সতর্ক ভাবে করবেন। যদি ধরতে পারি, নাহ থাক কি করব আর বললাম না)
Written by-
Mashroof Hossain
Senior ASP, Bangladesh Police
চতুর্থ স্থান, 28 তম বিসিএস ।
 

SOCIAL LINKS

Sample Text

 
Blogger Templates