য়ে এ সংত্রুান্ত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) হেলাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি অনেক দিনের পুরানো এজেন্ডা। আজ এর নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। তবে একবারে সব সরকারি কলেজকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে না এনে বরং পর্যায়ক্রমে করার পক্ষে মত এসেছে। আমরা সেভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবো আশা করছি। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারি কলেজগুলোকে বের করে আনার নানা ঝক্কি নিয়ে আলোচনা হলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে বাস্তবায়নের পক্ষেই সবাই মত দিয়েছেন। সবগুলোকে একসাথে হস্তান্তর না করে তা পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর করার পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ বড় সব কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের ছাত্রদের নিয়েই হিমশিম খাচ্ছে। নতুন করে কলেজ দেখা-শোনার দায়িত্ব নিতে গেলে ভবন, অতিরিক্ত বাজেটসহ জনবলের প্রয়োজন হবে। এছাড়াও আরো নানা বিষয় সামনে আসবে। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র কয়েকটি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। তাদের নতুন করে কলেজ নেয়ার সামর্থ্য থাকবে না। উল্লেখ্য, সারাদেশে ২৭৫টি সরকারি কলেজ রয়েছে। এ কলেজগুলো প্রায় কয়েক লাখ শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। বিষয়টি নিয়ে আরো দ্রুততার সাথে কাজ করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গত বছরের ৩১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করতে গিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি কলেজগুলোতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থিত সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি ঢিলেমির অভিযোগ উঠেছে। ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ৭ ডিসেম্বর ’১৪ ইউজিসিতে ভিসিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় পক্ষে মত এলে তা বাস্তবায়নে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান করা হয় ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মাদ মোহাব্বত খানকে। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রায় এক বছর পরও তা দিতে পারেনি। সর্বশেষ ইউজিসি নতুন চেয়ারম্যানসহ দুজন সদস্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে ফের তাগিদ দেন। এ অবস্থায় নতুন করে তোড়জোর শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment
Share your thoughts